দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় ও পাট শিল্পের বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণে সরকার ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটজাতপণ্যকে বহুমুখী পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। রোববার (১২ অক্টোবর, ২০২০) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। এ ছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বহুমুখী পাটজাত পণ্যের নামসহ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাট খাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমান সরকারের এসব কর্মপরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে পাট খাত চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
শ্রমঘন পাট খাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পাট খাতের উন্নয়নে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’, ‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে । এসব আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) মাধ্যমে পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ ও ব্যবহারের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রায় ৭০০ উদ্যোক্তা বিভিন্ন ধরনের দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছে, যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে দেশে জনপ্রিয় করতে প্রচার-প্রচারণাসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।