1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে ৪ খাতের শেয়ারে

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫

শেয়ারবাজারে বিদায়ী(১৯-২৩ জানুয়ারি ২০২৫) সপ্তাহে সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে মোট লেনদেনের অর্ধেকেরও বেশি হয়েছে চার খাতে। এর মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩৮৯ কোটি, বস্ত্র খাতে ২৫৪ কোটি, প্রকৌশল খাতে ২২৪ কোটি এবং ব্যাংক খাতে ২০৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। সব মিলিয়ে আলোচ্য চার খাতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৩ কোটি টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর প্রান্তিক আর্থিক ফলাফলকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার প্রবণতা বেড়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি ১০ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ডের ইল্ড কমার কারণে সামনে নীতি সুদহার কম থাকবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৩৩ পয়েন্ট বা ০.৬৪ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ১৩৪ পয়েন্ট।

ডিএসইর বাজার মূলধন সপ্তাহের শুরুতে ছিল ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, সপ্তাহ শেষে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ৬৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন বেড়েছে ১৭৩ কোটি টাকা বা ৯.১৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইর গড় লেনদেনও বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ৪১৩ কোটি টাকা। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসে গড় লেনদেন ছিল ৩৭৮ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৫ কোটি টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেনে বিদায়ী সপ্তাহে ওষুধ ও রসায়ন খাতের আধিপত্য ছিল। লেনদেনচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮.৮৯ শতাংশ নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ১২.৩২ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ১০.৮৬ শতাংশ লেনদেন নিয়ে প্রকৌশল খাত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯.৯৯ শতাংশ। ৮.৮৮ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে ছিল তথ্য ও প্রযুক্তি খাত।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পাঁচটি বাদে বাকি সব খাতের শেয়ারেই ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি ৫.০৪ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এরপর সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন ছিল বস্ত্র ও সিরামিক খাতে। এ দুই খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৩.৫৭ ও ৩.৪২ শতাংশ।

অন্যদিকে গেল সপ্তাহে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বেশি ১.৬৩ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। তাছাড়া এ সময় মিউচুয়াল ফান্ডে ০.৯৮ ও জীবন বীমা খাতে ০.৭২ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল।

গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, কোহিনূর কেমিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও এডিএন টেলিকমের শেয়ারের।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ