বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে একটি হিটম্যাপ ঘোষণা করেছে। এই হিটম্যাপে দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা ভবিষ্যতের বিনিয়োগের প্রচারের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, এফডিআই হিটম্যাপ শুধু একটি পরিকল্পনার দলিল নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের বিনিয়োগের জন্য একটি রূপরেখা হিসেবে কাজ করবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে রোডশো, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি অথবা নীতি সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
হিটম্যাপে ১৯টি খাতকে তিনটি প্রধান মানদণ্ডের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে:
ক্যাটাগরি ‘এ’: এই ক্যাটাগরিতে রয়েছে সেক্টরগুলো যেগুলো উচ্চ বাজার প্রস্তুতি, দ্রুত প্রবৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা নিয়ে আছে। এখানে রয়েছে পোশাক, ওষুধ, কৃষি প্রসেসিং, আইটি সেবা, উন্নত টেক্সটাইল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী।
ক্যাটাগরি ‘বি’: এই ক্যাটাগরিতে রয়েছে দ্রুত প্রবেশযোগ্য খাত, যেমন অটোমোটিভ পার্টস, ফুটওয়্যার, হালকা প্রকৌশল এবং চামড়া।
ক্যাটাগরি ‘সি’: এখানে রয়েছে লজিস্টিকস এবং ইলেকট্রনিকস ও অ্যাসেম্বলি খাত, যেগুলো উন্নয়ন সম্ভাবনার সত্ত্বেও ইনপুট চ্যালেঞ্জের সমাধানে বিশেষ চুক্তির প্রয়োজন।
বিডা জানিয়েছে, এফডিআই হিটম্যাপের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ফোরাম, রোডশো এবং নীতি উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান এফডিআই জিডিপির মাত্র ০.৫ শতাংশ হলেও, বৈশ্বিক গড় ৩ থেকে ৪ শতাংশ। এই হিটম্যাপ সেই প্রবণতা পরিবর্তনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি জানান, এই হিটম্যাপ প্রস্তুতিতে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য ছিল, যা ভবিষ্যতে বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থাকবে। নিয়মিতভাবে এটির পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করা হবে।