1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন

গলিপথে ডলার বেচাকেনার সিন্ডিকেট

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দামে খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) ডলার লেনদেন নেই। নির্ধারিত দরের চেয়ে ২ থেকে ৪ টাকার ব্যবধান রয়েছে। আর এভাবেই ডলার বেচা-কেনা হয় মানি এক্সচেঞ্জের পার্শ্ববর্তী গলিপথ কিংবা হোটেল-রেস্তোরাঁয়। দর-দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ঢাকার মতিঝিল দিলকুশা, ফকিরাপুল, পল্টন এলাকায় এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রেমিট্যান্স ও আন্তঃব্যাংক ডলারের রেট ছিল ১২০ টাকা। আর খোলাবাজারের ক্রয় দর নির্ধারণ করা ছিল না। কিন্তু সর্বোচ্চ বিক্রয় দর ছিল ১২১ টাকা।

রাজধানীর মানি এক্সচেঞ্জগুলোর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে ডলার নেই বলা হচ্ছে। তবে দোকান থেকে বের হলেই পাশে অপেক্ষমাণ অপরিচিতরা ডলার কেনা-বেচার প্রস্তাব দেন। তারা বেশি দামে গলিপথ বা হোটেল রেস্তোরাঁয় ডলার বিক্রি করছেন।

আর এভাবেই ডলার কিনে ঠকছেন অনেকে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিং কমে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে অবৈধ ডলার সিন্ডিকেট বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বিক্রেতা বলছেন, ডলার সরবারহের ওপর বাজার ওঠানামা করছে।

আব্দুল হামিদ নামের এক ব্যক্তি এ দিন ডলার কিনতে এসেছেন পল্টনে। কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জ ঘুরে ডলার না পেলেও এক দোকানি একটা রেস্তোরাঁর মধ্যে নিয়ে ডলার বিক্রির প্রস্তাব দেন। তিনি বিক্রেতার সঙ্গে দরদাম করে ১২৪ টাকা দরে ২০০ ডলার কিনলেন।

একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয় সালাম হোসেন নামের অন্য এক ব্যক্তিকে। ফকিরাপুলে ১২৫ টাকা বলায় মতিঝিলে এসেছেন ডলার কিনতে। সালাম হোসেন জানান, ডলার কেউ বিক্রি করলে কম দরে কেনেন। কিন্তু বিক্রির সময় দাম বেশি চাওয়া হয়। আমি সামনে একজনের কাছ থেকে ১২১ টাকায় ডলার কিনেছি। আমার কাছে ১২৫ টাকা চাওয়া হচ্ছিল। পরে মতিঝিল থেকে একটা চায়ের দোকানে একজনের কাছ থেকে ১২৪ টাকা দরে কিছু ডলার কিনেছি।

তবে মানি এক্সচেঞ্জগুলোর কয়েকটিতে ডলার কেনা ১২০ ও বিক্রি ১২১ টাকা লেখা থাকলেও বিক্রির কোনো দৃশ্য চোখে পড়েনি। ক্রেতা দেখলেই দোকানের বাইরে নিয়ে দরদাম চলে।

পল্টন আজাদ প্রোডাক্টসের গলিতে আহমেদ নামের এক ডলার বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ডলার কেনার রেট নেই, তবে বিক্রির রেট ১২১ টাকা রয়েছে। মানি এক্সচেঞ্জ কম দামে ডলার কিনতে পারলে ওই দামে দিতে পারবে। কিন্তু গলিতেই বাড়তি দামে মানুষ ডলার বিক্রি করছে, আবার বাড়তি দামেই তারা কিনছে। তার কথার সঙ্গে সুর মিলিয় কথা বলছেন অন্য বিক্রেতা সুমন, সোলাইমান।

মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এস এম জামান গণমাধ্যমকে বলেন, খোলাবাজারে ডলার বাজার আগের চেয়ে কমেছে। এখন চাহিদা মতো ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য বাজার বিষয়ে নতুন গভর্নরকে কিছু প্রস্তাব দিয়েছি।

তিনি বলেন, গভর্নর আমারের প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। বাজার মনিটরিং কিছুটা শিথিল হয়ে পড়েছে। এ সুযোগ নিচ্ছে অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীরা। তাদের ধরতে সব সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ