গত আড়াই বছর যাবত দেশের শেয়ারবাজার পতনের বৃত্তে আটকে রয়েছে। এই সময়ে প্রধান শেয়ারবাজার শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১ হাজার ৬০০ পয়েন্টের বেশি। লাখের বেশি বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে পথে বসে গেছে।
গত আড়াই বছরে প্রায় সপ্তাহেই বিনিয়োগকারীরা পতনের বড় ঝাপ্টা দেখেছে। কোন কোন দিন পতনের তান্ডব সেঞ্চুরী ছুঁয়েছে। এই সময়ে কিছু কিছু সময়ে উত্থানও হয়েছে। যা ছিল যৎসামান্য।
এই সময়ে উত্থান প্রবণতার ছোঁয়া থাকলে উত্থানের সেঞ্চুরী দেখেছে বলে বিনিয়োগকারীরা মনে করতে নেই। যদিও পতনের বহু সেঞ্চুরী দেখেছে। আজ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে উত্থানের সেরা সেঞ্চুরী দেখেছে। আজ ডিএসইর সূচক বেড়েছে প্রায় ১২৪ পয়েন্ট। যা স্বরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৭ হজার ১০৫ পয়েন্ট। তারপর থেকেই শেয়ারবাজারে শুরু হয় ধারাবাহিক পতন। যা চলতি সপ্তাহের প্রথমভাগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। গত ৩০ জুন ডিএসইর সূচক ছিল ৫ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। সেই হিসাবে গত আড়াই বছরে ডিএসইর সূচক উধাও হয়ে গেছে ১ হাজার ৭৭৭ পয়েন্ট। গত তিনদিনে সূচক ১৬৯ পয়েন্ট বেড়ে আজ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গতকাল বুধবার শেয়ারবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিনিয়োগ করার অনুমতি প্রদান করার একটি খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই খবরে আজ শেয়ারবাজারে বড় উত্থান দেখা গেছে। আজএকদিনেই বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও বেড়েছে ৯ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা বা ১.৩৯ শতাংশ।
তাঁরা বলছেন, শেয়ারবাজার এমনিতে পতনের চাপে সর্বনিম্ন তলানিতে এসে ঠেকেছে। যেখান থেকে সামনে যাওয়া ছাড়া কোনো গনন্তর ছিল না। এর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিনিয়োগ করার ইতিবাচক খবরটি শেয়ারবাজারকে আরও সামনে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।