ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি দুই দেশের কোনো বিষয় নয় বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ হত্যাকাণ্ডকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি এটিকে পরিকল্পিত বলে জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনোয়ারুল আজীমের হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক, মর্মান্তিক ও অনভিপ্রেত। যে ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কলকাতা পুলিশ সেখানে প্রবেশ করেছিল। হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা কয়েকজনকে সেখানকার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (২২ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একটি কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কীভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে বিস্তারিত আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে। আমরা আমাদের মিশনের মাধ্যমে খবর রাখছি এবং মিশন কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও খোঁজ রাখছে।
এর আগে এমপি আনোয়ারুল আজীম ভারতে গিয়ে চারদিন ধরে নিখোঁজ বলে গত রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) জানায় তার পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে ডিবিকে ওইদিন জানানো হয়, চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে এমপি আনোয়ারুলের সঙ্গে স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ নিয়ে তারা ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে উদ্বেগের কথা জানান।
এর মধ্যেই বুধবার (২২ মে) দুপুরের দিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়। তবে তার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
সম্প্রতি জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের নিয়ে প্রকাশিত একটি নেতিবাচক ডকুমেন্টারির ব্যাপারে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, আমি এখনো এটি দেখিনি। আমি নিজে না দেখে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। আমাকে আগে দেখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি অ্যাফেয়ার্সের প্রিন্সিপাল কো-অর্ডিনেটর মো. আখতার হোসাইন, ইনফ্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সিইও মো. আলমগীর মোর্শেদ, বাংলাদেশ সোলার রিনিওবেল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল আকতার এবং এসআরইডিএ’র চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সের সাবেক পরিচালক খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক নাসিফ শামস এবং ধন্যবাদ জানান গ্রিন টেক ফাউন্ডেশনের সিইও লুৎফর রহমান।