বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। সুষ্ঠু ভোটে তারা বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ধ্বংস করে জোর করে ক্ষমতায় আছে তারা।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতারা কিছু না বললেও ওবায়দুল কাদের সাহেবরা খুব উত্তেজনার ভেতরে আছেন।
তাদের উত্তেজনা কোনোভাবেই প্রশমিত হচ্ছে না। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন। ভয়ে তারা প্রলাপ বকছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডোনাল্ড লু’ এসে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবেন সেই আশায় আছে বিএনপির নেতারা। কিন্তু বিএনপির নেতারা কোথাও এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা ভয় থেকে প্রলাপ বকছেন। তিনি কি জ্বরে ভুগছেন কিনা। মনে হয় তিনি বড় ধরনের অস্থিরতায় আছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে, অথচ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ ২৫-২৬ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে তারা গ্রেপ্তার করেছিল। সে নির্বাচনে অন্যকোনো দল অংশ নেয়নি। জনগণও তাদের ভোট দিতে যায়নি। গোটা বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করে এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কথা বলছে তারা।
সবদিক থেকে বাংলাদেশ ধ্বংসের কিনারা এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন- আমার ধর্মময় জীবনে অর্থনীতির এমন খারাপ অবস্থা দেখিনি। জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী বলেছেন- বর্তমান অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য পশ্চিমারা ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের এরকম বক্তব্যে বোঝা যায়- দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রারন্তে। সুতরাং জনগণকে মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত করা যাবে না। তাদের প্রত্যেকটি কাজ হচ্ছে অবৈধ। এতে জনগণের রায় নেই।’ দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, কাজী রফিক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি ইমতিয়াজ বকুল, সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, ওমর ফারুক কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।