দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ। পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় গরমের তীব্রতা ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আজ শুক্রবার ছুটির দিনে রাস্তায় মানুষ কম থাকলেও গরমে বেশি অস্বস্তিতে খেটে খাওয়া মানুষ।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরম। প্রখর রোদে অস্বস্তিতে দেখা গেছে হকার, দিনমজুরদের।
রাজধানীর পল্টন মোড়ে কথা হয় বংশাল থেকে আসা ভ্যানচালক সুন্দর আলীর সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, সকাল থেকে গরম বেড়েই চলছে। এ প্রখর রোদে গাড়ি (ভ্যান) নিয়ে বাইরে থাকাটাই কষ্ট। আজ রাস্তায় মানুষ কম থাকলেও গরমের কমতি নেই। তীব্র তাপে ঘেমে জামা ভিজে আবার শুকাচ্ছে। এরপরও পেটের দায়ে বের হতে হয়।
কাকরাইলের বাসিন্দা জমিরুল বলেন, এত গরমে যে বাতাস বইছে সেটাতেও গরম। আজ রাস্তায় যানজট নেই, তবুও লোকাল বাসে উঠে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। একটু বৃষ্টি না হলে আর স্বস্তি নেই।
একই কথা বলেন রিকশাচালক রবিউল ইসলাম। পল্টন মোড়ে কথা হয় রবিউলের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল থেকে শরবত আর আইসক্রিম খেয়েই আছি। গরমে অন্য কোনো খাবার খেতে মন চায় না। আজ ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রী কম, এরপরও পেটের দায়ে আমাদের তো রাস্তায় থাকতে হয়।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। দেশের চার জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এছাড়া বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গতকাল বৃহস্পতিবারও ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।