সদরঘাটের সঙ্গে মেট্রো রেলের সংযোগ স্থাপনের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ঢাকা শহরে বসবাসকারী মেট্রো রেলে করে সদরঘাট আসতে পারবে। এটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাবে। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী।
সদরঘাটও এই সুবিধা পাবে। আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকের তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেকটা পিছিয়ে ছিল। তাদের তুলে আনার জন্য পায়রা বন্দর করা হয়েছে।
বন্দরটি হওয়াতে ওই অঞ্চলের চিত্র পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই পদ্মা সেতু এবং পায়রা বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আগামী দিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মেট্রো রেলের সুবিধা পুরান ঢাকাবাসীও পাবে।
মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির বিষয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। পাঁচ বছরে তেমন কিছু করতে না পারলেও গত ১৫ বছরে তিনি বাংলাদেশকে মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দিয়েছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সদরঘাটের চিরায়িত চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না।
আগে আমার স্পিডবোটে করে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হয়েছে। আমি সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসতে পারিনি। কারণ গোলাপ শাহ্ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত। এখন পদ্মা সেতুর কারণে সেই শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।’
মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে, কোনো ধাক্কাধাক্কি নেই। আগে দেখতাম লঞ্চে জায়গা নেওয়ার জন্য রাত ৮টায় লঞ্চে ছেড়ে যাবে কিন্তু যাত্রীরা সকাল বেলা এসে লঞ্চে বসে থাকত দুপুরের খাবার-দাবার নিয়ে। বর্তমানে সেই অবস্থাটা নেই। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাজিদুল ইসলাম, যুগ্মসচিব মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য সেলিম ফকির উপস্থিত ছিলেন।