তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যা গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এদিকে ভূমিকম্পের কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটিসহ প্রতিবেশী দেশ জাপান ও ফিলিপাইনে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
বুধবারের (৩ এপ্রিল) জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ৯টার (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা) কিছু আগের এই ভূমিকম্পে তাইওয়ানের ভবনগুলো কেঁপে ওঠে এবং দেশের পূর্বাঞ্চলে সৃষ্টি হয় ব্যাপক ভূমিধস। ভূমিকম্পের কারণে তাইওয়ানি কর্তৃপক্ষ উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে এবং সেখানকার অধিবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে এ সময় মহাসড়কগুলোতে যানবাহনগুলো একপাশে চেপে যায় এবং শহরের সাবওয়ে সেবা বন্ধ হয়ে যায়। পুরোনো ভবনগুলো থেকে আস্তরণ খসে পড়ে এবং সেগুলোতে থাকা আসবাবপত্র এলোমেলো হয়ে যায়। আজ সকালে ভূমিকম্পের আফটার শক শুরু হয় প্রথম কম্পনের ১৫ মিনিট পরে এবং তা পরবর্তী এক ঘণ্টা বজায় থাকে।
জাপানের আবহাওয়া বিভাগ (জেএমএ) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। তবে প্রথমে বলা হয়েছিল, এটি ছিল ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূকম্পন।
তাইওয়ানে ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্রের পরিচালক উ চিয়েন ফু জানান, ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে দুই হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হওয়ার পর এটিই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। সমগ্র তাইওয়ানজুড়ে এবং সাগরের অন্যান্য দ্বীপে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
অন্যদিকে জেএমএ জানিয়েছে, জাপানের ওকিনাওয়া, মিয়াকোজিমা ও ইয়ায়েমা দ্বীপগুলো থেকে লোকজনকে যত দ্রুত সম্ভব সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় ৩ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সতর্কতার পর ওকিনাওয়া বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের উপকূরীয় এলাকাগুলোতেও উচ্চমাত্রার সুনামি ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটির ভূতাত্ত্বিক সংস্থা উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের অতিদ্রুত উঁচু এলাকাগুলোতে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।