1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন

শেয়ারবাজার জুড়ে আতঙ্ক, বিনিয়োগকারীদের আহাজারি

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪
stock -markrt-lose

গত এক মাসের বেশি সময় ধরে শেয়ারবাজারে চলছে ধারাবাহিক পতন। এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৩ দিন বাজার ইতিবাচক থাকতে দেখা গেছে। বাকি সময় ধরে চলছে উপর্যুপরি পতন। কোনো কোনো সময়ে দেখা গেছে আতঙ্ক ছড়ানো পতনের ঝাপটা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক মাসের বেশি ধরে চলা পতনকে আজ ছাড়িয়ে গেছে। আজ শেয়ারাবাজারে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক আজ একদিনে কমেছে ৭০ পয়েন্ট। এর আগে গত ৭ মার্চ ডিএসইর সূচক কমেছিল এই যাবত কালের মধ্যে দ্বিতীয়সর্বোচ্চ ৫৪ পয়েন্ট। আজকের পতন বাজারজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের আহাজারি।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর সূচক ছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট। আজ সোমবার (১৮ মার্চ) সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে। এই সময়ে সূচক কমেছে ৪৭৫ পয়েন্ট।

এতে দেখা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারিতে থাকা সূচক ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট ওই সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে (১৫ ফেব্রুয়ারি) কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে। ওই সপ্তাহে ডিএসইর কমে যায় ১১১ পয়েন্ট।

এর পরের সপ্তাহে (১৮-২২ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর সূচক ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে। পরের সপ্তাহে (২৫-২৯ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৫৪ পয়েন্ট।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (০৩-০৭ মার্চ) ডিএসইর সূচক ১৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে। পরের সপ্তাহে বা বিদায়ী সপ্তাহে (১০-১৪ মার্চ) ডিএসইর সূচক কমে যায় আরও ১৪৪ পয়েন্ট। গত বৃহস্পতিবার সূচকটি ৩৪ মাসের মধ্যে সর্বনিন্মে অর্থাৎ ৬ হাজারের নিচে নেমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে।

আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস সোমবার ডিএসই ৫ হাজার ৯৬৮ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শুরু করে। যা দিনশেষে ৬৯.৮০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে স্থির হয়। আজ একদিনেই সূচক পড়ে যায় প্রায় ৭০ পয়েন্ট।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাজারে ধারাবাহিক পতন ঘটাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারী যারা মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের বেশিরভাগই শেষ হয়ে গেল। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুরোধের পরও ব্রোকারেজ হাউজগুলো বাধ্য হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে মার্জিন ঋণের গ্রাহকদের শেয়ার ফোর্স সেল করে দিয়েছে।

একটি শীর্ষ স্থানীয় ব্রোকারেজ হাউজের এক কর্মকর্তা বলেন, বিনিয়োগকারীদের প্রতি আমাদের সব রকমের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা রয়েছে। কিন্তু আমাদেরকে-তো বাঁচতে হবে। যেসব বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্ট অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে, সেগুলো আমরা বাধ্য হয়ে ফোর্স সেলের আওতায় এনেছি।

শেয়ারবাজারের অন্যতম টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট স্টক অবজারভারের জয়ন্ত দে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি চক্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে শেয়ারবাজারকে ফেলে দিচ্ছে। তারা কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এমনটা করছে। এতে যারা মার্জিন নিয়ে শেয়ার কেনাবেচা করতো, তারা শেষ হয়ে যাচ্ছে।

জয়ন্ত দে বলেন, তারা জানে চলতি বছর আমাদের শেয়ারবাজার অনেক ভালো হবে। কারণ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বিশ্বের সব দেশের শেয়ারবাজার ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অনেক দেশের শেয়ারবাজারে এরই মধ্যে রেকর্ড উত্থানও হয়েছে। কেবল আমাদের দেশে এখনো ব্যতিক্রম। তবে আমাদের দেশের শেয়ারবাজারও অনেক বাড়বে, সেটা খুব বেশি দূর নয়।

সোমবারের বাজার পর্যালোচনা

আজ সোমবার (১৮ মার্চ) ডিএসইর প্রধান প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৯.৮০পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১৩.৫৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪২ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৪৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার।

আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ৩৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

আজ সিএসইতে ২২৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের।

আগের দিন সিএসইতে ২১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৮৫টির, কমেছিল ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ