দুর্ঘটনার দুই দিন পরও নির্বাপণ হয়নি চট্টগ্রামের এস আলম সুগার মিলের আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
এদিকে বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে সংবাদকর্মীদের খবর সংগ্রহে মিলে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাস্থলে থাকা একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদক এনাম হায়দার বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের কারণে আগুন নির্বাপণে সমস্যা হচ্ছে এমন অজুহাতে সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মিলের মূল ফটকটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই থেকে তিনদিন সময় লেগে যেতে পারে।’
ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত গোডাউনটি প্রায় পাঁচ তলার সমান উচ্চতার। এটির পুরোটাজুড়েই চিনির কাঁচামাল মজুত আছে। শুধু নিচ থেকে আগুন নেভানো সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে ওপর থেকে পানি ছেটানোর বিকল্প নেই, কিন্তু সরঞ্জামের অভাবে আমরা করতে পারছি না। তাই গোডাউনের পুরো কাঁচামাল পুরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আগুন নেভার সম্ভাবনা নেই।’
এর আগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া কাঁচামাল থেকে কার্বন সৃষ্টি হচ্ছে। অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে যা আরও দাহ্য হয়ে উঠেছে। এ কারণে আগুন নির্বাপণে দেরি হচ্ছে। এ আগুন পানি দিয়ে নির্বাপণ সম্ভব নয়, তাই আমরা ফোম টেন্ডার ব্যবহার করছি।’
এদিকে আগুনের তাপ ও পুড়ে যাওয়া চিনির গলিত লাভার চাপে হেলে পড়েছে দুর্ঘটনাকবলিত গোডাউনের এক পাশের দেওয়াল। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, ‘আগুন লাগা গুদামটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। যে কারণে আগুন লাগার পর নেভানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পুরো গুদামটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’