শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পাকে ১২০ কোটি টাকার বন্ডকে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করার অনুমতি দিয়েছে। তার বন্ডহোল্ডারকে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে তার অনুরোধের পরে।
২০১৭ সালে সী পার্ল ব্যবসার গতি বাড়াতে ২০ পরিবর্তনযোগ্য বন্ডের মাধ্যমে ৩২৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। বন্ডটি সম্পূর্ণরূপে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) কর্তৃক সাবস্ক্রাইব করা হয়েছিল।
২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির প্রতি বছর ১০৮ কোটি টাকা (মূল ও সুদ) দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বন্ডের তিন কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি কোম্পানিটি।
সূত্র মতে, আইসিবি ৩২৫ কোটি টাকার বন্ডের বিপরীতে সী পার্লের কাছে ৪০০ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। এপ্রিল ২০২০ থেকে সী পার্ল অর্ধ-বার্ষিক ঋণ পরিশোধ শুরু করার কথা ছিল।
কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে কোম্পানিটি হোটেল ব্যবসা ব্যাপকভাবে হ্রাস করেছে। তাই কোম্পানিটি আইসিবির কোনো অর্থ প্রদান করেতে পারেনি এবং তা মওকুফের জন্য আবেদন করে।
এটিকে, খেলাপি হওয়া থেকে বাচতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হাইকোর্টেও গিয়েছিল যেখানে এটি তার ব্যবসায় হ্রাস এবং আইসিবিকে অর্থ প্রদান না করার কারণ হিসাবে মহামারীর কথা তুলে ধরেছিল।
গত বছরের নভেম্বরে সি পার্লকে বন্ডের ১২০ কোটি টাকা সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল আইসিবি।
সেই চিঠির প্রেক্ষিতে, সী পার্লের বোর্ড ১২০ কোটি টাকা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের গ্রহণ করে।
সী পার্লের মতে, এই রূপান্তরের ফলে কোম্পানিটির ঋণের বোঝা কমে আসবে এবং এতে কোম্পানির আর্থিক পারফরমেন্স শক্তিশালী হবে। যা দীর্ঘমেয়াদে এর সামগ্রিক কর্মক্ষমতা বাড়াবে।
এরপর কোম্পানিটি বিএসইসির অনুমোদন চায়। বিএসইসি হাইকোর্টে নিষ্পত্তি সাপেক্ষে কোম্পানিটির ১২০ কোটি টাকার বন্ড শেয়ারে রূপান্ততের অনুমতি প্রদান করে।
উভয় কোম্পানির মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে শেয়ারের দাম নির্ধারণ করা হবে বলে এতে বলা হয়েছে। এছাড়া রূপান্তরিত শেয়ার তিন বছরের জন্য লক-ইন থাকবে।