1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন

পদ্মা সেতুতে দৈনিক টোল আদায় সোয়া ২ কোটি

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে দৈনিক গড় আয় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। বহুমুখী এ সেতু উদ্বোধনের পর থেকে গত ১৯ মাসে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ হাজার ২৭০ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির গর্ব ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা বহুমুখী সেতু (পদ্মা নদীর ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু)। যা ২০২২ সালের ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এবং একই বছরের ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, উদ্বোধনের পর থেকে সেতু পারাপারকারী যানবাহন থেকে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৭০ কোটি ৮১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। উদ্বোধনের পরে এক বছরেই (২০২৩ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত) আয় হয়েছে প্রায় ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা এবং দৈনিক গড় আয় প্রায় দুই কোটি ১৮ লাখ টাকা।

সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া বছরে শ্রমশক্তির প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশের কর্মসংস্থান ঘটেছে। এই সেতু নির্মাণের ফলে সারাদেশে দশমিক ৮৪ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি- দক্ষিণাঞ্চলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ।

তিনি বলেন, এছাড়া ট্রান্স এশিয়ান রেল ও সড়ক এ সেতুর মাধ্যমেই যুক্ত হবে। বাণিজ্য, শিল্পায়ন ও পর্যটন ত্বরান্বিত হবে। এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থসামাজিক জীবনচিত্র পাল্টে গিয়ে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ দামের পণ্য ও সেবা উৎপাদন/রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এর ফলে জনসাধারণের আয় তথা ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ