শেয়ারখবর প্রতিবেদক:
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফু-ওয়াং ফুডে নিয়মিত ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করে প্রায় ২ কোটি টাকা করা হয়েছে। যা কর্মীদের মাঝে প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করা হয় না। যার পরিবর্তে উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা সেই ফান্ড ভোগ করছেন।
ফু-ওয়াং ফুডের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, প্রতি বছর নিট মুনাফার ৫% ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা কর্মীদের মধ্যে বিতরন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ফু-ওয়াং ফুড কর্তৃপক্ষ ফান্ড শুধু গঠন করে। তা বিতরন করে না।
কোম্পানিটিতে ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শ্রমিক ফান্ড রয়েছে। কিন্তু এই ফান্ড গঠনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের মাঝে ১ টাকাও বিতরন করা হয়নি। যে টাকা শুধু খাতায় রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ভোগ করছে উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা।
শ্রম আইন অনুযায়ি, ফু-ওয়াং ফুডে কর্মীদের জন্য গ্রুপ বীমা করা বাধ্যতামূলক। তবে কোম্পানিটিতে তাও করা হয়নি।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানিতে উদ্যোক্তা/পরিচালকদেরকে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারন করতে হবে। কিন্তু ফু-ওয়াং ফুডে এই শেয়ার ধারন মাত্র ৭.৮৫ শতাংশ। তবে বিএসইসির এই নির্দেশনা পরিপালন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে নিরীক্ষককে জানিয়েছে ফু-ওয়াং ফুড কর্তৃপক্ষ। এলক্ষ্যে এরইমধ্যে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফু-ওয়াং ফুডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৯২.১৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। রবিবার (১৬ জুলাই) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪৩.৫০ টাকায়।