1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

সিকিউরিটিজের দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ২℅ বেধে দিল বিএসইসি

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২
comiissioner

দেশের শেয়ারবাজারে চলমান নেতিবাচক পরিস্থিতিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সিকিউরিটিজ দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা আগামিকাল থেকে কার্যকর। ফলে আজকের ক্লোজিং প্রাইসের উপর ভিত্তি করে কাল সর্বোচ্চ ২% কমতে পারবে।

মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। এতে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

শেখ শামসুদ্দিন বলেন, শেয়ার দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের নির্দেশনাটি পূর্বের দিনের ক্লোজিং প্রাইসের সঙ্গে কার্যকর হবে। তবে শেয়ার দর বাড়ার সীমা অপরিবর্তিত থাকবে।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগের ন‍্যায় দীর্ঘমেয়াদি হবে না। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২℅ সীমা তুলে নেওয়া হবে।

এর আগে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ পতনের ২% সীমা বেঁধে দিয়েছিল কমিশন। ওই বছরে ১ম ও ২য় দফায় ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া কোম্পানিগুলোর উপর এই সীমা আরোপ করা হয়েছিল।

২০২০ সালে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলো শেয়ার বাজারে ভয়াবহ ধস নামে। শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।

এরপরে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ১ম দফায় ৬৬টি ও ৩ জুন ২য় দফায় ফ্লোর প্রাইসে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। ওইসময় ফ্লোর তুলে নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার এক দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমতে পারবে বলে জানায় কমিশন। তবে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আগের মতোই ১০ শতাংশ সীমা বহাল রাখে। এরপরে ১৭ জুন সব সিকিউরিটিজের উপর স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার আরোপ করে।

উল্লেখ্য, দর পতনের ক্ষেত্রে ২% এর নতুন নির্দেশনার আগে ২০০ টাকার মধ্যে থাকা সিকিউরিটিজের উত্থান-পতনের সীমা (সার্কিট ব্রেকার) ১০ শতাংশ ছিল। অর্থাৎ যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০ টাকার মধ্যে, সেসব শেয়ার বা ইউনিটের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।

সার্কিট ব্রেকারের অন্য নিয়মগুলো – ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা সিকিউরিটিজের সার্কিট ব্রেকার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশ ও ৫০০০ টাকার ওপরে সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ শামসুদ্দিন বলেন, সেকেন্টারি মার্কেটে তারল্য প্রবাহ নিশ্চিতকল্পে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকে আরও ১০০ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা আজ থেকেই বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের মৌলিক ও প্রধান কাজ। এজন্য আমরা নানাবিধ চেষ্টা করে থাকি। যার ধারাবাহিকতায় দর পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২% ও স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধাবস্থা ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের একটি জাহাজ পরিত্যক্ত ঘোষণাকে অনেকে বড় প্রচার করছেন বলে জানান বিএসইসির এই কমিশনার। যারা বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে। এ জাতীয় ৩৫ জন গুজবকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে কারও গুজবে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, সেই গুজবের সত্যতা ও প্রভাব কতটুকু, তা যাচাই করার জন্য বিনিয়োগকারীদেরকে পরামর্শ দেন তিনি।

সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল ব্যবহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিবাচক। কিন্তু এখনো অনেক ব্যাংক ওই ফান্ড গঠন করেনি। এছাড়া কেউ কেউ ফান্ড গঠন করলেও তা ব্যবহার করেনি।

শেয়ারবাজারে লেনদেনের গতি বাড়াতে ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে কমিশন টি+১ সেটেলমেন্ট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান বিএসইসির এই কমিশনার। তবে চালুর আগে শেয়ারবাজারে টি+১ সেটেলমেন্টের প্রকৃত অর্থে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা, তা যাচাই করো হবে। কোন ইতিবাচক ফলাফল ছাড়া চালু করতে চাই না।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ভূমিকাটা যেমন হওয়া দরকার ছিল, তা কোম্পানিটির বর্তমান ম্যানেজমেন্ট উপলব্ধি করছেন। আশা করি এই বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটি আগামিতে শেয়ারবাজারে সঠিক ভূমিকা রাখতে পারবে।

শেয়ারবাজারের উন্নয়নে মার্কেট মেকার গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মার্কেট মেকারের আইন আছে। কিন্তু মার্কেট মেকার নেই। যদি দেশে বড় বড় মার্কেট মেকার থাকত, তাহলে বর্তমানের এই পরিস্থিতি কাটানো যেতে। এটি শেয়ারবাজারের জন্য খুবই কার্যকর। যা বিশ্বের সবদেশেই আছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ