জাপান সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহযোগিতা হিসেবে একক প্যাকেজের আওতায় রেকর্ড ৩২০ কোটি ডলার (৩ দশমিক ২ বিলিয়ন) দিচ্ছে।
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ১০ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছরে মাত্র শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বুধবার এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন চুক্তিতে সই করেন। ৪১তম ঋণ প্যাকেজের মাধ্যমে এই বিপুল অর্থ দিচ্ছে জাপান।
এর আগে জাপান বাংলাদেশকে আরও ৪০টি প্যাকেজের মাধ্যমে উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে। তবে এতো বেশি অর্থ আর কখনই দেয়নি। সবশেষ গত বছর ৪০তম ঋণ প্যাকেজের আওতায় ২৫০ কোটি ডলার দিয়েছিল জাপান।
জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার পাশাপাশি করোনাভাইরাস মহামারী মোকবেলায় এগিয়ে নিতে এই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাপান। এই ৪১তম ঋণ প্যাকেজের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাতটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে এই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।
যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পে আট হাজার ৯০০ কোটি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বর্ধিতকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পে আট হাজার কোটি, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (৪) এ সাত হাজার ২১০ কোটি, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (লাইন ৫) প্রকল্পে প্রায় পাঁচ হাজার ৫৭০ কোটি, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে প্রকল্পে ১৯০ কোটি, ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্পে এক হাজার ১২১ কোটি এবং নগর উন্নয়ন ও শহর সুশাসন প্রকল্পে দুই হাজার ৮২১ কোটি ইয়েন দিচ্ছে জাপান।
জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক দাতা হিসেবে জাপান সর্বোচ্চ ঋণ সহযোগিতা দিচ্ছে।
জানা যায, বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত দেশটি মোট ২২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। এই দশকে এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারাবাহিক রাখতে সমর্থন অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে জাপান।