গত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে শেয়ারবাজারে থেমে থেমে পতন চলছে। অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাজারে ভালো ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। এতে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরুও করেছিল।
কিন্তু তারপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বাজারের বড় বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত শাস্তির আওতায় আনার কাজে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায় তারাও নেতিবাচক প্রবণতায় লিপ্ত হতে থাকে। ফলে খন্দকার রাশেদ মাকুসদের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই বাজার ধারাবাহিক পতনে আটকে যায়। প্রতিদিনই বাজার নামছে। কোন কোন দিনি বাজারে পতনের সেঞ্চুরিও হচ্ছে। যার ফলে দিশেহারা বিনিয়োগকারীদের এখন ঘুম রীতিমতো হারাম হয়ে গেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক বছরের মধ্যে বর্তমানে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দাম বছরের সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হচ্ছে। এটি স্বরণকালের মধ্যে বছরের সর্বনিম্ন দামে লেনদেনের রেকর্ড। এর আগে এতো সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দাম এভাবে বছরের সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হতে দেখা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনেকগুলোর দাম ফেসভ্যালু অর্থাৎ অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে নেমে গেছে। ফেসভ্যালুর নিচে লেনদেন হচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১২টি। এরমধ্যে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোম্পানির শেয়ারও রয়েছে।
অন্যদিকে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের দাম বছরের সর্বোচ্চ দামের তুলনায় এখন প্রায় ৬-৭ গুণ কম দামে লেনদেন হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ বিনিয়োগকারী নিঃশেষ হয়ে শেয়ারবাজার ছেড়েছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির সংখ্যাই বেশি। তবে পিছিয়ে নেই ‘বি’ এবং ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ারও। ‘এ’ ক্যাটাগরি শেয়ারের মধ্যে রয়েছে ১৪টি। যেগুলো হলো- বসুন্ধরা পেপার, ডরিন পাওয়ার, ইস্টার্ন ব্যাংক, জেনেক্স ইনফোসিস,গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ইনট্রাকো সিএনজি, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, নিটোল ইন্স্যুরেন্স, নাভানা ফার্মা, এনআরবিসি ব্যাংক, শাশা ডেনিমস, সোনাবাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স ও সামিট পাওয়ার।