1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

বন্যায় বিদ্যুৎহীন ৭ লাখ গ্রাহক

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

টানা বৃষ্টি এবং ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় ফেনী ও নোয়াখালীসহ দেশের কয়েকটি জেলা স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। এ ছাড়া সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন্যাদুর্গত মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

এসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়ে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ওঠায় ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় বুধবার (২১ আগস্ট) রাত পর্যন্ত ৭ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে নোয়াখালী ও ফেনী। নোয়াখালীতে প্রায় চার লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জিএম মো. জাকির হোসেন বলেন, আমাদের এই সমিতিতে ৭ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। আমাদের কয়েকটি সাবস্টেশনসহ বিদ্যুৎ বিতরণকারী বেশির ভাগ এলাকায় ইতিমধ্যে বন্যার পানি ওঠে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি এড়াতে ৫০ শতাংশের বেশি (প্রায় চার লাখ) গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্ধ্যায় আমাদের অফিসের ভিতরেও পানি প্রবেশ করেছে।

অপরদিকে, বন্যার পানিতে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকেই ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সব এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় গত মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় পুরোপুরি সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, জেলায় চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখের বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক ছিল।

ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভবনগুলোর নিচ তলায় পানি ঢুকে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই পানি নামা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে। বন্যার পানি কমার আগে সংযোগ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে স্পিডবোট নিয়ে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে বিজিবি সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের শত শত স্বেচ্ছাসেবক দিনব্যাপী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। উদ্ধার তৎপরতায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডও যুক্ত হচ্ছে। বন্যার কারণে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কসহ স্থানীয় সব গ্রামীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ