ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন সদস্য প্রতিষ্ঠান স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজকে নিয়ম লঙ্ঘন করে মার্জিন ঋণ দেওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত বৃহস্পতিবার বিএসইসির ওয়েবসাইটে চলতি বছরের জুলাই মাসে নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রকাশ করেছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে তদন্ত করে দেখতে পায়, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজ সিকিউরিটিজ নিয়ম লঙ্ঘন করে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, একজন অনুমোদিত প্রতিনিধির মাতা এবং আরও সাত জন গ্রাহককে মোট ৪৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা মার্জিন ঋণ দিয়েছে।
ডিএসইর নতুন ট্রেক স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজ মার্জিন ঋণের নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরাফাত জাহান বিপ্লবকে ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা মার্জিন ঋণ প্রদান করেছে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে, কোন ব্রোকারেজ হাউস নিজ পরিচালনা পর্ষদের কোন সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, বোন, ভাই, ছেলে, পুত্রবধূ এবং অন্যান্য আত্মীয়কে মার্জিন ঋণের সুবিধা প্রদান করতে পারে না।
বিএসইসি তদন্ত দল আরও দেখতে পায়, সারোয়ার মোর্শাদের মাতা হোসনে আরা বেগমকে নিয়ম লঙ্ঘন করে মার্জিন ঋণ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সারোয়ার মোরশাদ ব্রোকারেজ হাউসটির অনুমোদিত প্রতিনিধি। তাই তার মাকে মার্জিন সুবিধা দেওয়াও সিকিউরিটিজ নিয়মের লঙ্ঘন।
তদন্তে আরও দেখা যায়, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজ কোনো চুক্তি ছাড়াই আরও সাত জন গ্রাহককে মার্জিন ঋণ প্রদান করেছে। আইন অনুযায়ী, চুক্তি ছাড়া মার্জিন ঋণ দেওয়া নিষিদ্ধ।
তবে তদন্ত কমিটির কাছে স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজের সিইও আরাফাত জাহান বিপ্লব স্বীকার করেছেন, তারা প্রাসঙ্গিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এবং কমিশনকে বলেছে, ব্রোকারেজ হাউসটি ব্যবসায় নতুন হওয়ায় তারা আইন সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। তারা যা করেছে তার জন্য ক্ষমাও চেয়েছে।
উল্লেখ্য, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ট্রেক (TREC) লাইসেন্স পেয়েছে।
বিএসইসি স্নিগ্ধা ইক্যুইটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার অর্থ জমা দিতে বলেছে। অন্যথায়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।