অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং মূল্যস্ফীতির মাঝেও ২০২৪ এর প্রথমার্ধ শেষে আইপিডিসি ফাইন্যান্স প্রশংসনীয় মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বিগত বছরের অর্ধবার্ষিকের তুলনায় আইপিডিসি’র ২০২৪ এর অর্ধবার্ষিকে মুনাফায় ৯.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটে মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৮ মিলিয়ন টাকায়।
রেট ক্যাপের অনুপস্থিতিতে লোনের বর্ধিত ইন্টারেস্ট রেট এই প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে যা লোন ও ডিপোজিটের ইন্টারেস্টের ব্যবধান বৃদ্ধি করে গোটা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতকেই বর্ধিত নীট ইন্টারেস্ট আয়ে সহায়তা করেছে।
২০২৩ এবং ২০২৪ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিগত বছরের একই সময়কাল থেকে ২৫.৮ শতাংশ বেশি আয় অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই উর্ধ্বগামী চিত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা আরেকটি প্রভাবক হলো বিনিয়োগ আয়ের বৃদ্ধি যা ২০২৩ এর অর্ধবার্ষিকের থেকে ১১৪.৬ শতাংশ বেড়ে ২১৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা কিনা বিগত বছরের একই সময়কালে ছিল ১০১ মিলিয়ন টাকা। এই বিরাট উল্লম্ফনের অন্যতম কারণ সরকারি ট্রেজারি বিলের রেটের ঊর্ধ্বগতি যেখান থেকে আইপিডিসি ইন্টারেস্ট আয় করেছে প্রায় ৮৪ মিলিয়ন টাকা।
দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালন ব্যায়ের হ্রাসও বেশ বড়ো অবদান রেখেছে যা প্রতীয়মান হয় এ বছরের প্রথমার্ধ শেষে অপারেটিং ব্যায়ের ৮.৯ শতাংশ হ্রাসপ্রাপ্তিতে। বিগত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের সাথে তুলনা করলেও দেখা যায় অপারেটিং খরচ কমেছে ৮.৪ শতাংশ। এই সমস্ত কারণ মিলিয়ে অর্ধবার্ষিকে এসে অপারেটিং মুনাফা বেড়েছে ৩৪.৪ শতাংশ যার ফলে বিগত বছরের একই সময়কালের তুলনায় সার্বিক মুনাফা বেশি অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিগত বছর এ সময় যে নীট মুনাফা ছিল ৯৫ মিলিয়ন, এ বছর তা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন। গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় মুনাফা বৃদ্ধি পেয়ছে ৬.৪ শতাংশ।
অর্থনৈতিক সংকট এবং মার্কেটের বৈরী অবস্থা সত্ত্বেও আইপিডিসি গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ বছর এ পর্যন্ত ১০ হাজার ১১৩ মিলিয়ন টাকার নতুন ডিপোজিট আইপিডিসি অর্জনে সক্ষম হয়েছে ২ হাজার ৩৫০ জন গ্রাহক থেকে, যা এ পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইন্যান্সিয়াল পারফরম্যান্স।