1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন

 হায়দরাবাদকে উড়িয়ে তৃতীয় শিরোপা জয় কলকাতার

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪

রানবন্যার আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ এমন হবে, সেটি বোধ হয় অনেক ক্রিকেটভক্ত কল্পনাও করতে পারেননি। বলা যায়, একেবারেই একপেশে লড়াই। যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এই মৌসুমের লিগপর্বে রান তুলেছিল ২৬৬, ২৭৭ এমনকি ২৮৭ করে, সেই দলই ফাইনালে অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১১৩ রানে।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ৩ পেসার- আন্দ্রে রাসেল, মিচেল স্টার্ক ও হার্শিত রানার তোপে পুরো ইনিংসও খেলতে পারেননি হায়দরাবাদ। অলআউট হয়ে গেছে ৯ বল আগেই। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় আইপিএলের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলতে কোনো বেগই পেতে হয়নি কলকাতাকে। মাত্র ১০.৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে হায়দরাবাদের দেওয়া লক্ষ্য টপকে যায় তারা।

চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করে কলকাতা। দলীয় ১১ রানে ওপেনার সুনিল নারিন (২ বলে ৬) আউট হয়ে গেলেও রান তোলায় গতি কমাননি ভেঙ্কটেশ আয়ার ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৮ ওভারেই ৯৩ রান তোলেন তারা।

৩২ বলে ৩৯ রান করে আউট হয়ে যান গুরবাজ। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ভেঙ্কটেশ। ফিফটি হাঁকান তিনি। ২৬ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ভেঙ্কটেশ। তার সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়ার আয়ার।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে একেবারেই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়ে হায়দরাবাদ। দলীয় ৬ রানে ২ উইকেট, ২১ রানে ৩ উইকেট হারায় প্যাট কামিন্সের দল।

ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে অভিষেক শর্মাকে (৫ বলে ২) বোল্ড করে দেন মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ট্রাভিস হেডকে (১ বলে ০) রানের খাতাই খুলতে দেননি বৈভব অরোরা। রাহুল ত্রিপাতি ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ১৩ বল খেললেও ৯ রান করে স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।

এরপর ধৈর্য ধরে হায়দরাবাদকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এইডেন মার্করাম ও নিতিশ কুমার রেডি। ১০ বলে ১৩ রান নিতেই নিতিশের উইকেট নেন হার্ষিত রানা। ফলে ভেঙে যায় কষ্টার্জিত ২৬ রানের ছোট জু্টি।

মার্করামও টিকে থাকতে পারেননি। ২৩ বলে ২০ রান করে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হন তিনি। ৬২ রানে ৫ উইকেট হায়দরাবাদের। কিছুই করতে পারেননি শাহাবাজ। ৭ বলে করেন ৮ রান।

যাকে নিয়ে কলকাতার শঙ্কা ছিল, সেই হেনরিখ ক্লাসেনও ছিলেন একেবারে অনুজ্জ্বল। শেষ দিকে অন্তত তাকে নিয়ে কিছুটা হলেও আশা করছিল হায়দরাবাদ। সেটিও হলো না। ১৭ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যান ক্লাসেন।

শেষ দিকে একাই লড়াই করে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন (১৯ বলে) অধিনায়ক কামিন্স। রাসেলের বলে স্টার্কের হাতে ক্যাচ হন তিনি।

কলকাতার হয়ে আন্দ্রে রাসেল নেন ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক ও হার্শিত রানা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ