শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে এপ্রিল মাসের বিনিয়োগ হালনাগাদ প্রকাশ করেছে ২০টি কোম্পানি। প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১৫টি কোম্পানির। একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কোম্পানির। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- বারাকা পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, জিবিবি পাওয়ার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, যমুনা অয়েল, মবিল যমুনা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল, শাহজীবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার, তিতাস গ্যাস এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.১৬ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.৪৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৫৯ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৩৭.১১ শতাংশ থেকে ০.৪৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৬৮ শতাংশে।
বারাকা পাওয়ার
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৪.৮১ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.৪৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.২৫ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৪৪.৪৪ শতাংশ থেকে ০.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৪.৭৫ শতাংশে।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৭.০৭ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.১৩ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫৪.৭৮ শতাংশ থেকে ০.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪.৭২ শতাংশে।
ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩.৬৯ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৭০ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৮.৬১ শতাংশ থেকে ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৬০ শতাংশে।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.৮৫ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৮৭ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ২৮.০২ শতাংশ থেকে ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৮.০০ শতাংশে।
জিবিবি পাওয়ার
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৪.৩২ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৪৯ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫৩.৬৭ শতাংশ থেকে ০.১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩.৫০ শতাংশে।
ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১২.১৮ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৫৯ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫৭.৭২ শতাংশ থেকে ০.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭.৩১ শতাংশে।
যমুনা অয়েল
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৮.৫৯ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.১৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৭৭ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৮.২৭ শতাংশ থেকে ০.১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮.১১ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ০.১৬ শতাংশ থেকে ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.১৪ শতাংশে।
মবিল যমুনা
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২.৩৩ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২.৩৮ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৬.১৫ শতাংশ থেকে ০.০৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬.১০ শতাংশে।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩৩.২৪ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩.২৮ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৮.০৫ শতাংশ থেকে ০.০৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮.০১ শতাংশে।
পদ্মা অয়েল
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩৩.০৫ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩.১০ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ১৩.৭২ শতাংশ থেকে ০.০৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৬৭ শতাংশে।
শাহজীবাজার পাওয়ার
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৬.২৫ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.২৬ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ২৪.৫৪ শতাংশ থেকে ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৪.৫৩ শতাংশে।
সামিট পাওয়ার
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৮.২৮ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮.৩৬ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ১৪.৮৯ শতাংশ থেকে ০.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৮১ শতাংশে।
তিতাস গ্যাস
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৪.৮২ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৮৩ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ১০.১৩ শতাংশ থেকে ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০.১২ শতাংশে।
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন
মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৭.৪৪ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.০৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৪৭ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ২.৫৪ শতাংশ থেকে ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২.৫২ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ০.০২ শতাংশ থেকে ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.০১ শতাংশে।