1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

মিয়ানমারের ফিরে গেলো সেনাসহ ২৮৮ নাগরিক

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান। ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে আসা ওই একই জাহাজে মিয়ানমারের সেনা ও অন্যদের ফেরত পাঠানো হবে।

মিয়ানমারের ২৮৮ জনকে ভোরে ১১টি বাসে করে প্রথমে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাটে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৬টায় একটি জাহাজে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজে। দুপুর নাগাদ জাহাজটি সেন্টমার্টিন উপকূল হয়ে মিয়ানমারের সিটওয়েতে যাবে।

এদিকে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে দুই দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ওই নাগরিকদের বাংলাদেশে যাচাই কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা হয়।

প্রথমে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন, এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত ও বিচারাধীন এমন সব বাংলাদেশিকে (যাদের নাগরিকত্ব যাচাই হয়েছে) বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়। ফলে আরও ২৯ বাংলাদেশিকে মুক্তি দেয় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিট্যুয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রতিনিধিরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর ছয় শতাধিক আশ্রয়প্রার্থী সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয়দান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি তাদের মানবিক সহায়তা দিয়েছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ