শেয়ারবাজারে চলছে ভয়াবহ পতন। ধারাবাহিক এই পতনে বিনিয়োগকারীরা প্রায় স্বর্বশান্ত। তাদের চোখে-মুখে এখন খালি অন্ধকার। প্রতিদিনই শেয়ারবাজার পড়ছে। এতে বাড়ছে তাদের রক্তক্ষরণ বাড়ছে।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েই বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে আনা হয়েছে। এখন ধারাবাহিক পতন ঘটিয়ে তাদের স্বর্বশান্ত করা হচ্ছে। এখন ধারাবাহিক পতন ঠেকানো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। শেয়ারবাজার বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার জন্য নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেও এখন শেয়ারবাজারের ক্রান্তিলগ্নে তাদের কার্যকর ভূমিকা নেই। পতন ঠেকানোর লোক দেখানো বৈঠকে করলেও বাস্তবভিত্তিক কোনো দিক-নির্দেশনা নেই। যে কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছলেও বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে চলছে পতনের মাতম।
আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজধানীর মতিঝিলস্থ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচিতে বিনিয়োগকারীরা এভাবেই তাদের ক্ষোভ ও কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্য নেতারাও বক্তৃতা করেন। তারা শেয়ারবাজার উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
দাবি-দাওয়ার মধ্যে রয়েছে- মার্চেন্ট ব্যাংককে শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণ থেকে প্রত্যাহার করা, স্বল্প মূলধনী কোম্পানির আইপি অনুমোদন বন্ধ করা, শেয়ারবাজারের কোম্পানিগুলোর ন্যুনতম ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড নিশ্চিত করা, জেড ক্যাটাগরি ও এসএমই মার্কেট বলতে কিছু না রাখা, ২০১০ সালের ইব্রাহীম খালেদের রিপোর্ট অনুযায়ী কারসাজিকারিদের শাস্তির ব্যবস্থা করা, জিএমজি এয়ারলাইন্সে প্লেসমেন্ট অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।