1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন

চুয়াডাঙ্গায় আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে কয়েক দিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া এদিন যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিলো।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিল মাসজুড়ে দাবদাহ থাকতে পারে।

এদিকে প্রচণ্ড রোদে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষক। এছাড়া জেলায় বিভিন্ন সড়কের রাস্তার পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। জেলার সকল স্কুল-কলেজ, কিন্ডারগার্টেনসহ কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।

সাইফুল ইসলাম নামের এক মাল্টা চাষি বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে একবিঘা মাল্টা বাগানের অধিকাংশ ফল ঝরে যাচ্ছে। বাগানের আমও পড়ে যাচ্ছে। এই মৌসুমে অনেক টাকার ক্ষতি হবে।

একই গ্রামের কৃষক রাজিব হাসান বলেন, গরমে ঘরের বাইরে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। পানের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। পানি দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। পান পাতা ছোট হয়ে যাচ্ছে। এই মৌসুমের প্রায় ৫০ হাজার টাকার পান বিক্রি করতাম। তবে এখন আর সম্ভব না।

চলমান দাবদাহে ফসল রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য আমগাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে গাছের শাখাপ্রশাখায় পানি স্প্রে করতে হবে। ক্ষতি থেকে ধান রক্ষার জন্য ধানের শীষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই ৫-৭ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখুন। এ সময় জমিতে যেন পানির ঘাটতি না হয়।

রোদে রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাদের টিম সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছে। যেখানে পিচ গলে যাবে তা দ্রুত মেরামত করা হবে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য অফিসের সহায়তায় জেলার সব স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হয়। স্কুল, কলেজ, কিন্ডারগার্টেনসহ কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ