ইসরাইলের কারাগারে নয় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত অবস্থার মধ্যদিয়েই তারা পবিত্র রমজান মাস শুরু করেছেন।
ফিলিস্তিনের মানবাধিকার সংস্থা ‘প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স ক্লাব’ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ইসরাইল ফিলিস্তিনি বন্দিদের দুর্ভিক্ষের মুখে ফেলার নীতি গ্রহণ করেছে।
এই নীতি গ্রহণের কারণে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় গণহত্যামূলক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের খাদ্য সংকট তীব্রতর হয়েছে। ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের খাদ্য কেড়ে নেয়া হয়, অনেক সময় তিন বেলার জায়গায় এক বেলা খাদ্য দেয়া হয়; আবার খাদ্যের পরিমাণও অনেক কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ইসরাইলিদের এই বর্বর পদক্ষেপের কারণে বিশেষ করে অসুস্থ ফিলিস্তিনি বন্দীদের স্বাস্থ্য-পরিস্থিতি মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছেছে। এর বাইরেও ইহুদিবাদী কারা কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিরুদ্ধে নিকৃষ্টতম কিছু পদক্ষেপ নেয়, যেমন খুবই কম সিদ্ধ খাবার দেয়া কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার সরবরাহ করার মতো অন্যায় কাজও তারা করছে।
ফিলিস্তিনি বন্দীদেরকে খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষের মুখে ফেলা ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করতে বাধা দেয় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিরা নামাজ পড়তে কিংবা কুরআন তেলাওয়াত করতে গেলে বহুবার তাদের ওপরে হামলা চালিয়েছে বর্ণবাদী ইহুদিরা। এ ছাড়া, বহু বন্দীকে এতটাই নির্জন কক্ষে রাখা হয় যে, কখন কোন নামাজের ওয়াক্ত তারা তা জানতেও পারে না।
ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, ইসরাইলি কারাগারে ৯,১০০’র বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছেন যাদের মধ্যে ৩,৫৯৮ জন প্রশাসনিক বন্দী। এ ছাড়া, ২০০টি শিশু এবং ৬১ জন নারী বন্দী রয়েছেন। এর মধ্যে যে সমস্ত ব্যক্তি প্রশাসনিক আদেশের আওতায় আটক রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ যেমন নেই, তেমনি তাদের বিরুদ্ধে বিচারেরও কোনো উদ্যোগ নেই। তারা বছরের পর বছর ধরে বিনা বিচারে ইসরাইলি কারাগারে আটক রয়েছেন। পার্সটুডে