1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ অপরাহ্ন

গুজবে ভিত্তি করে মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারে উল্লম্ফন

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪
Mithun

মালিকানা পরিবর্তনের গুজবের উপর ভিত্তি করে ১৪ কর্মদিবসে শেয়ারবাজার তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ।

গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারের দাম ছিল ১২ টাকা ৮০ পয়সা। ১৪ কর্মদিবসের পর রোববার শেয়ারটির দাম ৯৩.৭৫ শতাংশ বেড়ে ২৪ টাকা ৮০ পয়সায় উঠেছিল। দিনশেষে ক্লোজিং হয়েছে ২২ টাকা ৫০ পয়সায়। গতকাল সোমবার শেয়ারটির দর ক্লোজিং হয়েছে ২১ টাকায়।

কোম্পানির কর্মকর্তাদের মতে, সম্প্রতি চীনভিত্তিক একটি কোম্পানি কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এরপর থেকে এই বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি নেই।

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) স্থাপিত কোম্পানিটির কারখানা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে।

২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ কোম্পানির সাথে ইজারা চুক্তি বাতিল করেছে। এরপর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলের বকেয়া এবং প্লট ইজারা কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সিইপিজেড সহ অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মিথুন নিটিং-এ সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। যারফলে কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর শ্রমিকদের মজুরি সহ তার কিছু ঋণ পরিশোধের জন্য সিইপিজেড নিলামের মাধ্যমে মিথুন নিটিং-এর যন্ত্রপাতি সহ সমস্ত সম্পদ বিক্রি করে দেয়।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একজন কর্মকর্তা শেয়ারনিউজকে জানিয়েছেন বলেন, কোম্পানিটি এখন শুধু কাগজে কলমে। তিনি বলেন, বিক্রয়ের জন্য কোনো সম্পদ অবশিষ্ট নেই। তিনি বলেন, যদি কেউ বিনিয়োগ করতে না আসে, তাহলে কোম্পানির কাছে এখন শেয়ারবাজার থেকে বের হয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

ওই কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানির মালিকরা অ্যাকর্ডের প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করেনি, যা বাংলাদেশের সব পোশাক কারখানাগুলো নিরাপদ কর্মক্ষেত্রে পরিণত করার জন্য ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। যারফলে কোম্পানিটিকে বিদেশী ক্রেতারা কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে এবং তারা অর্ডার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির এমন ভঙ্গুর অবস্থা সম্পর্কে জানে না। কারণ কোম্পানিটি সময়মতো কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্যই প্রকাশ করেনি।

বিএসইসির ওই কর্মকর্তা জানান, বেপজার ছাড়পত্র ছাড়াই কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এমনকি কারখানাটি বিক্রির সময়েও বিষয়টি বিএসইসিকেও জানানো হয়নি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ