রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনার পর গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) আরও বেশি সজাগ হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রাণহানির ঘটনায় তিনি বলেছেন, ‘এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না।’ তিনি আশা করেন, এর (অনিয়মের) বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনারে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে ওই ভবনে আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ভর্তি আছেন।
আগুনের ভয়াবহতা ও অনেকের মৃত্যুর পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন গতকাল শুক্রবার বেইলি রোডে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জানিয়েছে, ভবনটিতে রেস্তোরাঁ বা পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে অভিযান চালানো প্রসঙ্গে বলেন, ‘অতীতে কী হয়েছে, সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান চলবে। হাসপাতাল থাকবে, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে হবে।’