1. [email protected] : শেয়ারখবর : শেয়ারখবর
  2. [email protected] : Admin : Admin
  3. [email protected] : nayan : nayan
  4. [email protected] : news uploder : news uploder
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ অপরাহ্ন

লেনদেনের গতি বাড়ছে শেয়ারবাজারে

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪
share market

দেশের শেয়ারবাজারে গত বছর সূচক প্রায় স্থবির ছিল। চলতি বছর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর শেয়ারবাজারে গতি ফিরতে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারিতে এর আগের মাসের তুলনায় সূচকের পাশাপাশি দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। ইবিএল সিকিউরিটিজের মাসিক শেয়ারবাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

গত এক বছরের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দৈনিক গড়ে ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছে। আর আগের মাস জানুয়ারিতে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৫ কোটি ডলার বা ৭৬.৯২ শতাংশ।

তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছে। এর পরের মাসে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারে। গত এপ্রিলে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারে। গত বছরের মে মাসে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। জুন মাসে এটি কিছুটা কমে ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার হয়।

এরপর জুলাই মাসে দৈনিক গড়ে ৭ কোটি ২০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছে। গত বছরের আগস্টে এটি কমে দাঁড়ায় ৪ কোটি ডলারে। সেপ্টেম্বরে এটি বেড়ে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। অক্টোবরে দৈনিক গড় লেনদেন ৪ কোটি ২০ লাখ ডলারে নেমে আসে।

গত নভেম্বরে এটি কিছুটা কমে ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছিল। ডিসেম্বরে ৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ২১৭ পয়েন্ট। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সূচকটির অবস্থান দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে। গত জানুয়ারিতে যা ছিল ৬ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে।

এদিকে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ডিএসইতে সূচক কমলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ০.৩১ শতাংশ কমে ৬ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে।

নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ০.৬০ শতাংশ কমে ২ হাজার ১২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ১৪০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ০.০৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ২৩২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩১টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১১টির।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ৩ হাজার ৫০৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৩৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ৪.১০ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৮৭৭ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৮৪২ কোটি ৫৩ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে এই মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ১৪ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ০.১৭ শতাংশ।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ০.৪৩ শতাংশ কমে ১৭ হাজার ৯২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৮ হাজার ৫ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে ০.৩৬ শতাংশ কমে ১০ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১০ হাজার ৭৮৪ পয়েন্টে।

সিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১৮৩টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ