প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজি অটোগ্যাসকে উৎসাহিত করতে ট্যাক্স হলিডে সুবিধা দাবি করেছে এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রাক বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে এমন দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে।
সংগঠনটির মহাসচিব মো. হাসিন পারভেজ তার প্রস্তাবনায় বলেন, এলপিজি অটোগ্যাসকে একটি পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ এবং বিকল্প-সাশ্রয়ী যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারে উৎসাহিত করতে এবং এলপিজি অটোগ্যাস ব্যবসার প্রচার-প্রসারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সরকার বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজি অটোগ্যাসকে উৎসাহিত করেছে এবং এই শিল্প বিকাশের জন্য নীতিমালা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী সারা দেশে প্রায় এক হাজার এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপিত হয়েছে, যাতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশনের বিক্রয় আশানুরূপ নয়, তাই স্টেশনের পরিচালনা ব্যয় বহন এবং ব্যাংকের লোন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে আগামী দশ বছর এলপিজি অটোগ্যাস সেক্টরকে ট্যাক্স হলিডে সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করছি।
অন্যদিকে এলপিজি গ্যাসাধার উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি আমদানি ও লোকাল পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাসের তীব্র সংকটের কারণে আমাদের দেশে শিল্প উৎপাদন ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন কারখানায় তাদের উৎপাদন ধরে রাখার জন্য বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ডিজেল এবং এলপিজির দিকে ঝুঁকছে। বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজি একমাত্র সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী জ্বালানি। এলপিজি ব্যবহার করার জন্য শিল্প মালিকরা মূলধনী যন্ত্রপাতি হিসেবে এলপিজি স্টোরেজ ট্যাংক, এলপিজি গ্যাসাধার, ভ্যাপারাইজার, রেগুলেটর অমদানি করে আসছে। এসব মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির বিপরীতে সরকারের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। যে কারণে দেশীয় উদ্যোক্তাদের কাাঁচামাল আমদানি এবং গ্যাসাধার ও অন্যান্য মেশিনারিজ সরবরাহের জন্য সরাসরি শুল্কমুক্ত সুবিধার জানিয়েছে সংগঠনটি।