নতুন জোয়ার এসেছে দেশের পুঁজিবাজারে। এই কিছুদিন আগেও যেখানে নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যে পড়ে যে বাজার মরার মতো ধুঁকছিল, সে বাজার এখন টানা ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের আনাগোনা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের ধাক্কা সামলে গত কয়েক কার্যদিবস শনৈ শনৈ বাড়ছে শেয়ারদর। পরিস্থিতি এমনই যে, এখন থেকে ঠিক এক বছর আগে যেখানে শেয়ার বিক্রি করে পুঁজির যতটা সম্ভব তুলে নিতে মরিয়া ছিলেন বিনিয়োগকারীরা, এখন তারাই নতুন ক্রেতার ভূমিকায়। বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার চিন্তা নয়, নতুন করে বিনিয়োগের জন্য অর্থের সন্ধানে ছুটছেন তারা।বাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, দরপতনের ধাক্কার পর এখন বড় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হচ্ছেন। যার ফলে বাজারে ধীরে ধীরে বড় বিনিয়োগ ঢুকছে।
ফলে দরপতনের ধারা থেকে বেরিয়ে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবনতায় পুঁজিবাজার। একই সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে লেনদেনের গতি। পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোয় বিনিয়োগকারীদের মুখে ফুটেছে হাসি ।এবার হয়তো সত্যিকার অর্থেই গড়ে উঠবে পুঁজিবাজার, অর্থনীতিতে পুঁজির সংস্থানে এ বাজারই প্রধান বিকল্প হয়ে ওঠার পথে ।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ১ হাজার ৬৫১ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো এক হাজার এক হাজার ৬৫৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২৩ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৪৬ পয়েন্টে। ‘ডিএসইএস’ ৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৩৮৫ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১০ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে ২১৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৮টি কোম্পানির, বিপরীতে ২১৪ কোম্পানির দর কমেছে। আর ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।