দেশের শেয়ারবাজারে বড় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। যে কারণে ধীরে ধীরে গতি ফিরছে সূচক ও লেনদেনে। কিন্তু সূচক যেভাবে বাড়ছে, লেনদেন সেভাবে বাড়তে দেখা যাচ্ছে না।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় বিনিয়োগকারীরা বাজারে সক্রিয় হচ্ছেন। এই কারণে সূচকও বাড়ছে,. লেনদেনও বাড়ছে। তবে সূচক যে হারে বাড়ছে, লেনদেন সে হারে বাড়ছে না। এর কারণ হলো, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করছে। তারা লোকসানে শেয়ার ছাড়তে চাইছে না। যে কারণে শেয়ারের দাম বাড়লেও বিক্রির চাপ কমে যাচ্ছে।
আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার (১৫ জানুয়ারি) আগের দিনের চেয়ে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। কিন্তু তারপরও লেনদেন কমে গেছে। আজ যে পরিমাণ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। একই রকম চিত্র ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে।
আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১২৩ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ ৩৩৮ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির, দর কমেছে ৬৮টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৯টির।
এদিন ডিএসইতে ৬৭৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৬৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
আজ সিএসইতে ১৭৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৪টির, কমেছে ৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টি প্রতিষ্ঠানের।
আগের দিন সিএসইতে ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৫৮টির, কমেছিল ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের।